প্রকাশিত: Sun, Mar 17, 2024 1:13 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 4:08 AM

[১]১২ বছরে ৮০০ মোবাইল ফোন চুরি করেছেন সাবেক এক আমলার মেয়ে

মাসুদ আলম: [২] পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এক যুগ্ম সচিবের মেয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪)। তিনি  বিভিন্ন পরিচয়ে সোনারগাঁও, রেডিসন হোটেল ও ঢাকা ক্লাবসহ বিভিন্ন অভিজাত জায়গায় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মোবাইল ফোন, ব্যাগ, ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও স্বার্ণালঙ্কার ইত্যাদি চুরি করতেন। 

অবশেষে এক চিকিৎসকের মোবাইল ফোন চুরির মামলার সূত্র ধরে টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে  গ্রেপ্তার করে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের একটি টিম। 

[৩] তার কাছ থেকে মহিলাদের ১৬টি হ্যান্ডব্যাগ, চারটি মোবাইল, পাঁচটি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অলংকার, বিভিন্ন সুপার শপের কার্ড, চারটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। স্কুল এবং কলেজ জীবন থেকেই চুরির এই অভ্যাস গড়ে উঠে জুবাইদার। 

[৪] শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে  ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারহানা হকও অংশ নেন। সেমিনারে অংশ নেন জুবাইদা সুলতানাও। তিনি কৌশলে ক্যানসার চিকিৎসার বিখ্যাত এ চিকিৎসকের মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গহনা চুরি করেন। ফারহানা হকের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে ট্রান্সফার করে নেন। 

[৫] তিনি আরও বলেন, এরপর জুবাইদা নিজে সাজেন ডা. ফারহানা। রোগীরা যোগাযোগ করলে, পরামর্শ চাইলে ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন মোটা অংকের টাকা। এ ঘটনায় গত ১২ মার্চ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।  

[৬] মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জুবাইদা অভিজাত চোর। তার টার্গেট চাকরিজীবী নারী ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়া নারী শিক্ষার্থীরা। জুবাইদা বিভিন্ন পাঁচ-তারকা হোটেলে ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে পারিবারিক কোনো পরিচয়ে রেজিস্ট্রেশন করতেন না। একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন।

[৭] তিনি আরও বলেন, সভা-সেমিনারে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে চুরি করে সটকে পড়তেন। চোরাই জিনিস বিক্রি করে গত ১২ বছর ধরে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছিলেন তিনি। জুবাইদার বোন গ্রামীণফোনের বড় কর্মকর্তা। তার এসব খারাপ অভ্যাসের জন্য তাকে পরিবার থেকে বিতাড়িত করে দেওয়া হয়েছে। জুবাইদা দুটি বিয়ে করেছেন, তিনি তার বর্তমান স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী। তার স্বামী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। স্বামী সৌদিতে থাকলেও জুবাইদার চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান


[১]ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মারা গেছেন

এম খান: [৩] শনিবার ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। 

[৩] বাসস জানায়, তিনি স্ত্রী,এক কন্যা, দুই ছেলেসহ অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

[৪] গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর লিভার সিরোসিস ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া নিয়ে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুদগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কিছুদিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর শনিবার ভোরে তিনি মারা যান। 

[৫] মরহুম আব্দুল হাই ২০০১ সালে বিএনপি’র সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাবকে পরাজিত করে প্রথম শৈলকুপা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ওই আসনে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

[৬] ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

[৭] ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর আব্দুল হাই ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।